১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ - মরহুম লোকমান হোসেন ফকিরের সার্বিক সহযোগিতায় কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যমুনা বিধৌত চরাঞ্চলের একটি ইউনিয়ন নিকরাইল। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও সে যুগে নিকরাইল থেকে- টাঙ্গাইল, ভূঞাপুর, ময়মনসিংহ বা সিরাজগঞ্জ যাওয়া মোটেই সহজ ছিল না। তাই এলাকার মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার মানসেই এ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) শ্রেণির স্বীকৃতি ও অধিভূক্তি রয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০০ (ছয়শত)। অবকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করলেও সরকারি অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানে কোন অবকাঠামো তৈরি হয়নি। যা কিছু তার সবটুকুই ফকির পরিবারের অর্থানুতুল্যে হয়েছে। ভবিষ্যতে কলেজটিতে ৪টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স খোলার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদালয় কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। আশাকরি অচিরেই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজটি ১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ তারিখে যমুনা বিধৌত চরাঞ্চলের হত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো বিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। নিকরাইলের তথা সমগ্র জাতির গর্ব প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার, অমর একুশে পদক প্রাপ্ত মরহুম লোকমান হোসেন ফকির কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন, তাঁকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন সড়াতৈল গ্রামের মরহুম, মাওলানা শমসের আলী, আব্দুল হাই সরকার এবং আব্দুস সাত্তার তালুকদার প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ। সালাম পারভেজ ফকির, মিন্টু মাষ্টার এবং হযরত আলী সরকার এদের ভূমিকাও স্মরণযোগ্য। লোকমান হোসেন ফকির কলেজটি তাঁর চাচা মরহুম শমসের ফকিরের নামে নামকরণ করে, চাচার প্রতি ভাতিজার শ্র্দ্ধার্ঘের অমোঘ নিদর্শন স্থাপন করেন। এ থেকেই বুঝা যায় মরহুম লোকমান হোসেন ফকির কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে জনাব মতিয়ার রহমান অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ০১/০৭/১৯৮৬ তারিখে কলেজটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাময়িক মঞ্জুরী লাভ করে এবং ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পর্যায়ের অধিভূক্তি লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই কলেজটি ফকির পরিবারের আনুকল্য পেয়ে আসছে। বর্তমানে কলেজটি দায়িত্ব বহুলাংশেই পালন করে চলেছেন ঐতিহ্যবাহী ফকির পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট সমাজসেবী, শিক্ষানুরাগী, প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জনাব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস